У нас вы можете посмотреть бесплатно History of East Bengal | এই দিনেই জন্ম নেয় শতাব্দী প্রাচীন ফুটবল ক্লাব, কেন তৈরি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল? или скачать в максимальном доступном качестве, которое было загружено на ютуб. Для скачивания выберите вариант из формы ниже:
Если кнопки скачивания не
загрузились
НАЖМИТЕ ЗДЕСЬ или обновите страницу
Если возникают проблемы со скачиванием, пожалуйста напишите в поддержку по адресу внизу
страницы.
Спасибо за использование сервиса savevideohd.ru
ইস্টবেঙ্গল— বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্য এবং গর্বের ‘প্রতীক’। ১৯২০ সালে আজকের দিনেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই শতাব্দী প্রাচীন ফুটবল ক্লাব। আপনি কি জানেন, কলকাতায় মোহনবাগান, জোড়াবাগান, আরিয়ান বা ক্যালকাটা ফুটবল ক্লাবের মতো দল থাকা সত্ত্বেও কেন তৈরি হল ইস্টবেঙ্গল? শুনুন তা হলে। এক শতকেরও আগের কথা। কোচবিহার কাপে সে বার মোহনবাগানের মুখোমুখি জোড়াবাগান। এই হাইভোল্টেজ ম্যাচে খেলার জন্য মুখিয়ে ছিলেন সে সময়ের তারকা ফুটবলার শৈলেশ বোস। কিন্তু তিনি ‘বঞ্চনার শিকার’ হন। তাঁকে বাদ দিয়েই দল গড়ে জোড়াবাগান। এমনকি পরিবর্ত হিসাবেও শৈলেশকে মাঠে নামানো হয়নি। ক্লাবের সহ-সভাপতি এবং চেয়ারম্যান সুরেশচন্দ্র চৌধুরী শৈলেশকে দলে নেওয়ার অনুরোধ জানালেও তা অগ্রাহ্য হয়। শৈলেশের মতো একই রকম ‘বৈষম্য’-এর শিকার হন আরও একজন ফুটবলার, যাঁর নাম নসা সেন। অনেকেই মনে করেন, সে দিন শৈলেশকে না খেলানোর পিছনে চক্রান্ত ছিল মোহনবাগানেরও। আর এই ঘটনার পরই জোড়াবাগান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন পূর্ববঙ্গের ফুটবলার শৈলেশ। এটাই ছিল বারুদে অগ্নিসংযোগের মুহূর্ত! সে বছরই শৈলেশ বোস, নসা সেন, তড়িৎভূষণ রায়, মন্মথনাথ রায়চৌধুরী এবং অরবিন্দ ঘোষদের নিয়ে তৈরি হয় ইস্টবেঙ্গল। ক্লাবের প্রথম সভাপতি ছিলেন সারদারঞ্জন রায়। যুগ্ম ভাবে ক্লাবের সম্পাদকের ভূমিকা পালন করেছিলেন সুরেশচন্দ্র চৌধুরী এবং তড়িৎভূষণ রায়। ইস্টবেঙ্গলের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন রমেশচন্দ্র সেন। সর্ব প্রথম ‘সেভেন-এ-সাইড’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজেদের গৌরবময় জয়যাত্রার শুরু করে লাল-হলুদ। প্রথম পেশাদার প্রতিযোগিতা হারকিউলিস কাপের সাফল্যই মজবুত করে দেয় দলের ভিত। দল প্রতিষ্ঠার ৪ বছর পর, ১৯২৪ সালে দ্বিতীয় ডিভিশনের ফুটবল প্রতিযোগিতায় ‘ক্যামারুনস বি’ দলের সঙ্গে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে ইস্টবেঙ্গল। পরের বছরই আইএফএ-র স্বীকৃতি নিয়ে প্রথম ডিভিশনের ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ইস্টবেঙ্গল। এর পরের অধ্যায়ের রূপোলি রেখা ১৯৩৬ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে ৪-০ গোলে হারানো। আইএফএ শিল্ডে ভিক্টোরিয়াকে ৯-০ গোলে হারানোর যে রেকর্ড ইস্টবেঙ্গলের রয়েছে, তা এখনও অটুট। ১৯৪২ সালে প্রথম ক্যালকাটা ফুটবল লিগ জয়। তিন বছর পরেই ক্যালকাটা ফুটবল লিগ-সহ শিল্ড, জোড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে ইস্টবেঙ্গল। ১৯৪৯ সালে এক মরসুমেই ত্রি-মুকুট জয়, শিরোপার তালিকায় যুক্ত হয় রোভার্স কাপ। সাতের দশকে ইস্টবেঙ্গল ছিল এক কথায় অপ্রতিরোধ্য। কিংবদন্তি পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই লাল-হলুদ তাবুতে এসেছে তিরিশের উপর ট্রফি। একশো বছরের ইতিহাসে রয়েছে ২৯টি শিল্ড জয়, ৩৯ বার ক্যালকাটা ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব, তিন-তিনবার জাতীয় লিগ জয়-সহ আট বার ফেডারেশন কাপ জয়ের নজির। #AnandabazarOnline #eastbengal #historyofeastbengal